বাংলার সকাল ডেস্ক : আলোচিত মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।তার আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন কারামুক্তির তথ্য দিয়ে বলেন, বিকালে মেঘনার জামিননামা কারাগারে পৌঁছায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। তার বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগের দিন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।পরে গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় সোমবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত নারী বিবেচনায় তাকে জামিনের আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতেন।দেওয়ান সামির কাওয়াই গ্রুপের সিইও এবং সঞ্জনা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন তারা। এর আগে, ৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেফতার করা হয়।১০ এপ্রিল আদালত তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে জানতে চান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের গ্রেফতার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।