দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় এবং শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আশে পাশে বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি হয়। গত (১ মে) বৃহস্পতিবার ৪ টার দিকে এই ঝড় এবং শিলা বৃষ্টি হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারনে কৃষকের পাট, ভুট্টা, ধান, আম,পান বরজ, মরিচের চারা, বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর গ্রামের করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম বলেন, আমার ৪৪ শতাংশ জমিতে পান বরজ আছে আল্লাহর রহমতে অনেক সুন্দর পান পাতা হয়েছিল কিন্তু কালবৈশাখী ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির কারনে আমার ৪৪ শতাংশ জমির পান বরজের চারি পাশে নেট উড়ে যায় এবং উপরে চাল নষ্ট হয়ে যায়। শুধু আমার একানয় অসংখ্য কৃষক এই শিলাবৃষ্টির কারণে এমন ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হয়েছেন।
পাঁচুবাড়ী গ্রামের রেজাউল করিম বলেন, আমাদের আম বাগানে অনেক ক্ষতি হয়েছে ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির কারনে অনেক আম গাছ থেকে ঝরে গেছে এবং ডালপালা ভেঙে গেছে। কুড়ে পাওয়া আমগুলো বাজারে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাহানা পারভিন লাবনী জানান, প্রায় ৫০ শতক পানবরজের জমি ঝড়ে ও শীলাবৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে। উপযুক্ত যত্ন এবং পরিচর্যা, বালাইনাশক এবং কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পানের লতায় যে ক্ষতি হয়েছে তা রিকভারি করা সম্ভব বলে আশা পোষণ করছি।
এদিকে, প্রায় ২৫ শতক ধানক্ষেতে এবং ৫০ শতক ভুট্টার জমি আক্রান্ত হয়েছে । আর কিছু সবজি ক্ষেত (প্রায় ১২৬ শতক) আক্রান্ত হয়েছে ।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই ফসলগুলো দ্রুত রিকভারি করতে পারবে কৃষক। কিছু আম ঝরে পড়েছে( প্রায় ২%)। প্রাকৃতিকভাবেই প্রত্যেক বছর কিছু আম ঝরে পড়ে,তবে যে আম গুলো এখনো গাছে আছে, যত্ন এবং পরিচর্যার মাধ্যমে কৃষক ভালো ফলন পাবে বলে আশা পোষণ করছি। এছাড়াও আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে কৃষকদের সংশ্লিষ্ট ফসলের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।