ষ্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী পবা উপজেলার পারিলায় নিজ সম্পত্তিতে পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে বাধা, চাঁদাবাজী, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বিক্ষোভ মিছিল করে রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য ও পবা উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক উল্লেখ করেন তাঁর নিজ সম্পত্তিতে পূর্ব থেকেই পুকুর ছিলো। ঐ পুকুর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিয়ে সংস্কার করতে গিয়ে চাঁদাবাজদের হুমকীর মুখে পরেছেন। পতিত সরকারের দোসরারা এখনো সক্রিয়। তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম নষ্ট করার লক্ষেই চিন্থিত চাঁদাবাজরা তাঁর বিরুদ্ধে নানা প্রপাকান্ডা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করানো সহ মিথ্যা ও বানোয়াট বিক্ষোভ মিছিল করাচ্ছে। যারা বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা সবাই চিহ্নিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী। পতিত সরকারের আমলে ঐ সকল চিন্থিত সন্ত্রাসীরা তাঁর মায়ের নামীয় অনেক সম্পত্তি দখল করেছে। এ নিয়ে আদালত ও এসিল্যান্ড কার্যালয়ে সন্তানেরা বাদি হয়ে মামলা করেছেন যা চলমান।
শুধু তাই নয় দখলকারীরা তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলাও করেছে। সে সকল মামলায় এখনো তাদের হাজিরা দিতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা তাঁর ছেলের নিকট হতে চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দিলে পুকুর খনন করতে দেবেনা বলে হুমকী দেয়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র যেমন হাসুয়া, রামদা ও চাপাতি এবং জিআই পাইপ, লোহার রড ও লাঠিসোটা ইত্যাদি নিয়ে আক্রমন ও আঘাত করে। এতে তাঁর ছেলে আহত হয় এবং তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ড ভর্তি করা হয়। গত ১লা মে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও গুরুতর আহত করার ঘটনায় আরএমপি চন্দ্রিমা থানায় চার সন্ত্রাসী জয়নাল, শফিকুল, শোভন ও মনিরুজ্জামান মনির নাম উল্লেখ করে এবং ৬-৭কে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করেন। মামলায় এখনো পুলিশ তাদের গ্রেফতারের ব্যাপারে তৎপর নয়। এই মামলা করার পর থেকেই মুলত সন্ত্রাসীরা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক আরো উল্লেখ করেন পতিত সরকারের আমলে বিভিন্ন মাঠে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা ও এমপি মন্ত্রীরা হাজার হাজার বিঘা জমিতে নতুন করে পুকুর খনন করেছে। তখন ঐ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কোন কথা বলেননি। এখন তারা এলাকা ও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষেই গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তারা বৈধকে অবৈধ বলে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছে। যাহা অত্যন্ত দু:খ্যজনক। শেষে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ পরিবেশ করে তাঁকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান রাজ্জাক। এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন এ.এস.এম নুরুল্লাহ সরকার ইপ্তি, এ.এস.এম নাঈফ ওয়াসীত ও মোস্তাক আহমেদসহ অত্র এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের জনগণ।