ষ্টাফ রিপোর্টার : ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা SATT (Spirit of Advancement through Truth & Transformation) একটি অল-ইন-ওয়ান অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে একাডেমিক পড়াশোনা, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরির প্রস্তুতি এবং দক্ষতা উন্নয়ন-সবকিছুই একত্রে পাওয়া যায়।“শিক্ষা হবে উন্মুক্ত, হবে বাণিজ্যমুক্ত”-এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে শনিবার (২৪ মে) রাজশাহীর মাস্টারশেফ রেস্টুরেন্টের কনভেনশন হলে দেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন শিক্ষাপ্ল্যাটফর্ম SATT Academy-র প্রেস কনফারেন্স আয়োজনের মাধ্যমে উন্মোচিত হলো এক দশকের দীর্ঘ সংগ্রাম, স্বপ্ন ও সৃষ্টির এক অনন্য গল্প।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন SATT Academy-এর প্রতিষ্ঠাতা এম. এ. রহমান (আজিজ)।বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে স্বপ্ন, প্রতিজ্ঞা এবং আত্মত্যাগ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এই শিক্ষাবিপ্লব।তিনি বলেন,“আমি শুধু স্বপ্ন দেখাই না, তার বাস্তব রূপরেখাও আঁকি। আমার ১৪ বছরের আয়, মেধা, আরাম-আয়েশ সবকিছুই বিনিয়োগ করেছি স্যাটে, শুধুমাত্র এই একটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য-‘শিক্ষা হবে উন্মুক্ত, হবে বাণিজ্যমুক্ত।’”তিনি আরও জানান,“স্যাট এখন আর কেবল একটি অ্যাপ নয়-এটি একটি আত্মা, একটি চলমান বিপ্লব। ইতোমধ্যে ১০ মিলিয়নের বেশি শিক্ষার্থীকে আমরা স্পর্শ করেছি। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় অফলাইন সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করা।”
বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে রয়েছে:২০ লাখ প্রশ্নভাণ্ডার, ১০ হাজার মডেল টেস্ট, ১ লক্ষ একাডেমিক কনটেন্ট, E-Question Builder ও Exam Generator, অ্যান্ড্রয়েড এবং ওয়েব উভয় ভার্সনে অ্যাক্সেসযোগ্যতা
এম. এ. রহমান (আজিজ) বলেন,“স্যাটের গল্পটি কেবল আমার নয়, এটি একটি জাতির জেগে ওঠার গল্প। আপনাদের হাত ধরে এই বিপ্লব আরও ছড়িয়ে পড়ুক।”সংগ্রামের অন্তরালের গল্প
ফাউন্ডার জানান, স্যাটের পেছনে শুধুই মেধা নয়, বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা। বিসর্জন দিয়েছেন পরিবার, স্বাস্থ্য, সময় এবং আরাম। সমাজের নানা অপবাদ, এমনকি “ফ্রি কোচিং এর নামে জঙ্গি প্রশিক্ষক” বলেও তিরস্কৃত হয়েছেন তিনি। একসময় প্রিয় শহর চাঁদপুর রাতারাতি ছেড়ে আসতে হয়েছিল তাঁকে। তবে এই যাত্রায় পরিবার ছিল তার একমাত্র অবলম্বন-বিশেষ করে সহধর্মিণীর নিরন্তর সহায়তা।ফাউন্ডার তাঁর ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় অফলাইন সাপোর্ট হাব, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে ক্যারিয়ার রোডম্যাপ, গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য অফলাইন টেস্ট সেন্টার, প্রযুক্তির মাধ্যমে নেতৃত্বদানে সক্ষম নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা, রাষ্ট্রের সহযোগিতা পেলে স্যাটের প্রতিটি ফিচার ১০০% ফ্রি করার অঙ্গীকার
শেষ বক্তব্যে এম. এ. রহমান বলেন,“স্যাট শুধু একটি ওয়েব কিংবা অ্যাপ নয়, এটি একটি চেতনা। আমরা শুধু শিক্ষাই না-একটি চরিত্র গঠনেও ভূমিকা রাখতে চাই। জাতিকে বলতে চাই-টাকার পেছনে নয়, জ্ঞানের পেছনে দৌড়াও, সারা দুনিয়া তোমার পেছনে দৌড়াবে।”অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-জুনিয়র স্যাটিয়ান রেজওয়ান সিদ্দিক তামিম, ম্যানেজার নাজ্জার হোসেন রাজু, শিক্ষক মারুফ হোসেন, কনটেন্ট টিম লিডার ইফতেকার রহমান ধ্রুব এবং শিক্ষক ও ট্রেইনার মেহেরুন্নেসা মিম।