DhakaWednesday , 28 May 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ই-পেপার
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্যপ্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. ফিচার
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা-বাণিজ্য
  12. মহিলা অঙ্গন
  13. রাজনীতি
  14. রাজশাহী
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশে মাথাপিছু বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা

Link Copied!

বাংলার সকাল ডেস্ক : চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে এ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমলেও মাথাপিছু আয় ৮২ ডলার বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২০ ডলার (প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা)।মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পালিয়ে যাওয়ার পর ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও ভেঙে পড়ে। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব দেশের জিডিপিতে পড়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বিনিয়োগ প্রত্যাশিত মাত্রায় না বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ প্রবৃদ্ধির হার প্রতিফলিত হয়েছে। তবে বিনিয়োগের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে বিনিয়োগ স্তিমিত রয়েছে এবং গত ৯ মাসে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক অবস্থায় রয়েছে।অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সংস্থাটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে। ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জিডিপির এ হারটি প্রত্যাশিত ছিল। বিনিময় হার কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ পতন রোধ করে বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে, রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধিও দুই অঙ্কের কাছাকাছি আছে। তবে প্রবৃদ্ধির জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা হলো বিনিয়োগ। বিনিয়োগ এখনও পর্যন্ত স্তিমিত আছে। তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি গত ৯ মাসে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে আছে। বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির হারও স্তিমিত রয়েছে। তবে এখন প্রকৃত প্রবৃদ্ধিই প্রকাশ করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বিনিয়োগ প্রত্যাশিত মাত্রায় না বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ প্রবৃদ্ধির হার প্রতিফলিত হয়েছে।

তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরে জিডিপির আকার বেড়ে ৪৬২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) জিডিপির আকার ছিল ৪৫০ বিলিয়ন ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় ৫০ লাখ ২ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকার সমান।

বিবিএস দেশের জনসংখ্যা, কৃষি, শিল্প, জনমিতি, অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক বিষয়াদি, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ইত্যাদি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। এর মধ্যে স্থুল দেশজ উৎপাদনসহ (জিডিপি) গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন অন্যতম। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছিল। বর্তমানে সাময়িকভাবে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে।বিবিএসের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২০ ডলার। আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৩৮ ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে মাথাপিছু আয় ৮২ ডলার বেড়েছে।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বড় প্রভাব রয়েছে। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, এ অর্থবছরে বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশে, আগের অর্থবছরেও তা ছিল ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া দেশজ সঞ্চয় কমে ২৩ দশমিক ২৫ শতাংশে ঠেকেছে, আগের অর্থবছরে তা ছিল ২৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তবে জাতীয় সঞ্চয় বেড়ে ২৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, আগের অর্থবছর তা ছিল ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।