ষ্টাফ রিপোর্টার : ‘‘রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে বড় বড় কোরবানির পশুর হাট আছে। তাই এসব এলাকায় র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কে যেন কোনো রকম চাঁদাবাজি না হয় তার জন্য র্যাবের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গভীর রাতে র্যাবের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।’’রবিবার রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটিহাটে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন র্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘‘কোন ধরনের চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, পশুর হাটে পশু তোলা নিয়ে জোর-জুলুম যেন না করা হয়, তার জন্য বড় বড় হাটগুলোতে র্যাবের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। এখান থেকে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা গরমে অসুস্থ বোধ করলে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। জটিল পরিস্থিতি তৈরি হলে র্যাবের অ্যাম্বুলেন্সে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হবে।’’
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, কন্ট্রোল রুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুরক্ষা দিতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তকরণের জন্য মেশিন রাখা হয়েছে। এছাড়াও হাটগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়নো হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপূর্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আশা করছি হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাসহ সকলেই নির্বিগ্নে ঈদের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
এক সপ্তাহের বৈরি আবহাওয়ার পর রবিবার থেকে জমে উঠেছে রাজশাহীর সিটিহাট। এখন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে এখানে।