বাংলার সকাল ডেস্ক : প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাই রাখা হয়েছে এবারও। তবে পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধারা। এক বছর পর অর্থাৎ ২০২৬-২৭ করবর্ষে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পাবেন তারা। সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থাপিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব তথ্য উঠে আসে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সীমিত আয়ের জনগণের জন্য করের বোঝা হ্রাস করা, সামাজিক সুরক্ষা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষের জন্য স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। গেজেটভুক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত “জুলাই যোদ্ধা” করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।একই সঙ্গে ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের জন্য নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের জন্য ৪ লাখ ২৫ হাজার, প্রতিবন্ধী করদাতার জন্য ৫ লাখ, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার এবং তৃতীয় লিঙ্গের করদাতার করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ হাজার টাকা করা হয়েছে।
তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের জন্য ৪ লাখ, প্রতিবন্ধী করদাতার জন্য ৪ লাখ ৭৫, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ এবং তৃতীয় লিঙ্গের করদাতার করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।এছাড়া বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবার করদাতাদের জন্য ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষে মোট আয় করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকা নির্বিশেষে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নতুন করদাতাদের ন্যূনতম করের পরিমাণ ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, কর পরিপালন সহজ করার জন্য লিস্টেড কোম্পানিসমূহের ক্ষেত্রে ২.৫ শতাংশ কর হার সুবিধা প্রাপ্তির শর্ত শিথিল করে আয়, ব্যয় ও বিনিয়োগ এর পরিবর্তে কেবল সব প্রকার আয় ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭.৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।