দুর্গাপুর প্রতিনিধি : ফ্রিজিয়ান জাতের ১৫ মণ ওজনের পালন করা ষাঁড় নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম। তার পালন করা এ ষাঁড়টির নাম রেখেছেন ‘বাহাদুর’। এবার কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য বাহাদুরকে প্রস্তুত করেছেন শাহ আলম। ষাঁড়টির উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট ও প্রস্থ প্রায় ৩ ফুট।গরুটির মালিক শাহ আলম জানান, সবুজ ঘাস, দানাদার খাবার, কমলা, মালটা, ভুট্টা, ছোলা, চালের গুড়াসহ প্রতিদিন প্রায় সাতশত টাকার খাবার দিতে হয় তাকে। ষাঁড়টি বিশেষভাবে পালন করছেন তিনি। এলাকায় তাক লাগানো ষাঁড়টি দেখতে এখন প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন নানা প্রান্তের মানুষ। এবার স্থানীয় কোরবানির হাটের আলোচিত গরু ‘বাহাদুর’। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
শনিবার উপজেলার বেলঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা একেএম আজাদ এসেছেন ‘বাহাদূরকে’ দেখার জন্য। তার মতে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ষাঁড় ‘বাহাদুর’। এ ষাড়টি পালন করা হয়েছে বাড়ির ভিতরে পাকা রুমে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রাতের বেলা লাইট ও ফ্যান দেওয়া হয়েছে। তার দেখভাল করেছেন শাহআলম, তার স্ত্রী, পুত্র।খামারি শাহ আলম বলেন, প্রতিদিন গোসল করানো থেকে শুরু করে খাবার খাওয়ানো হয়েছে যত্ন করে। শাহ আলম বলেন, বাড়িতে পালন করা ফ্রিজিয়ান গাভি থেকে বাহাদুরের জন্ম। প্রায় তিন বছর থেকে লালনপালন করছেন তিনি। ষাঁড়টি এখন চারদাঁতি। এবার কোরবানির হাটে বিক্রি করতে চান।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোছা: জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এ বছরে দুর্গাপুরে হাটগুলোতে যাতে রোগে আক্রান্ত গরু বিক্রি না হয় সেজন্য ভেটেনারি টিম বসানো হয়েছে। আমাদের অফিস থেকে খামারিরা পরামর্শ নিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে রিষ্ট পুষ্ট বা মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে এসব গরু। তাই ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল বা অন্য কোনো উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরু বিক্রি করার সুযোগ নেই। তবে এ বছর হাটে ভারতীয় গরু না উঠলে দেশীয় গরুর ন্যায্য দাম পাবেন বলে আশাবাদী খামারিরা।
কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
