বাংলার সকাল ডেস্ক : সন্ত্রাস দমন ও মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২১ দিনে সেনাবাহিনী ৫৬টি অবৈধ অস্ত্র, ৯৯০ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ৪৫২ জন মাদক কারবারিসহ মোট ৯৯৬ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, ডাকাতসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িত ব্যক্তি রয়েছে।
গত ২৭ মে কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী এবং তার সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ঢাকার হাতিরঝিল এলাকা থেকে আরও দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোনসহ গ্রেপ্তার করা হয়।সেদিনই মোহাম্মদপুরে বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশন এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ফরিদ আহমেদ বাবু ওরফে এক্সেল বাবুসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
৪ জুন মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বুনিয়া সোহেল ও তার ১০ সহযোগীকে। তার বিরুদ্ধে ৩০টির বেশি মামলা রয়েছে। অভিযানে নগদ টাকা, দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়।৫ জুন কক্সবাজারের মাঝিরকাটা এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয় শাহীন ডাকাত ও তার দুই সহযোগীকে। তাদের বিরুদ্ধে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে। এ সময় ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
৬ জুন কুষ্টিয়ার দূর্বাচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় শীর্ষ সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর কবির লিপটনসহ চারজনকে। উদ্ধার করা হয় ৬টি বিদেশি পিস্তল, একটি লং ব্যারেল গান, ১০টি ম্যাগাজিন এবং ১১৯ রাউন্ড গুলি।গত তিন সপ্তাহে ৪৫২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মাদক সংশ্লিষ্ট ৫ হাজার ৪৭৬ জনকে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা ও অবৈধ মদ।
৬ জুন সাভারের লুটেরচর এলাকায় অবৈধ মদ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার ৬২০ লিটার মদ ও উৎপাদনের কাঁচামাল জব্দ করা হয় এবং কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।শফিকুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নে অতিবৃষ্টির কারণে একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেনাবাহিনী দ্রুত মেরামত কার্যক্রম শুরু করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।তিনি আরও জানান, হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী ঈদের দিন বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাবার বিতরণ করে।
শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী কাজ করছে। ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের বিষয়ে সেনা সদরে আইনশৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত হয়।ভেজালবিরোধী অভিযানে মিরপুরের একটি চকলেট কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ টাকা জরিমানা ও সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
