ষ্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা হচ্ছে জাতীর মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতী উন্নতির শিকড়ে উঠতে পারেনা। হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকেই শিক্ষা চালু আছে। তবে এর ভিন্নতা ছিলো, এখনো রয়েছে। কিন্ডারগার্টেন গুলো এর বাহিরে নয়। সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যখন শিক্ষা চলছে নানা তালবাহা। শিক্ষার নামে চলতে ধ্বংশাত্বক রাজনীতি, চলছে নিলর্জ্জ দলীয়করণ। ঠিক ঐ সময় হতে গুনগত শিক্ষার দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছে কিন্ডারগার্টেন গুলো। এখানকার শিক্ষকরা পান স্বল্প বেতন। তার পরেও তারা নিজের সবটুকু দিয়ে শিশুদের মনের ভিতরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলে জানান বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
রাজশাহী মহানগরীর সিএন্ডবি মোড়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী বিভাগীয় কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড স্কুল এসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, বিগত সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে সমুলে ধ্বংস করে ফেলেছে। খাতায় শিক্ষার্থীরা না লিখলেও তাদের পাশ করাতে হয়েছে। না হলে শিক্ষকের চাকরী চলে যেতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। শুধু তাইনয় শিক্ষা কারিকুলামে অবাঞ্চিত,মিথ্যা ও লগ্ন দলীয়করণের মাধ্যমে অনেক ভূল তথ্য অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছিলো। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ বিভ্রান্তিতে পরে গিয়েছিলেন। এতে শিক্ষার মানও অনেক কমে গিয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রতিযোগিতায় বেশীরভাগ অকৃতকার্য হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, শুধু তাই নয় প্রতিবছর সিলেবাস পরিবর্তন করে পুস্তক ব্যবসায়ী ও প্রস্ততকারকদের লাভবান করেছে পতিত সরকার। সেই সাথে লাভবান হয়েছে এর সঙ্গে যুক্ত সরকারের এমপি, মন্ত্রী, আমলা ও দলীয় লোকজন। কিন্তু এভাবে আর চলতে দেয়া হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলো শুধু সরকারের স্বাক্ষরতা কার্যক্রমের অংশিদার হয়ে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করছেনা, বরং বেকারত্ব কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে শত শত নারী-পুুরুষ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সেইসাথে অন্যান্য পদের চাকরী করছেন জনগণ।
মিলন বলেন, বিএনপি সর্বদা শিক্ষা বান্ধব সরকার। বিএনপি’র আমলে মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছিলো। সেইসাথে চাকরীতে কোটা পদ্ধতি চালু করেছিলেন তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শুধু তাইনয় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অনেক ভাতা চালু করেছিলেন। আগামীতে বিএনপি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কিন্ডারগার্টেন সমুহকে নিবন্ধনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে সন্তানদের শিক্ষায় মায়েদের অগ্রণী ভূমিকার প্রসংশা করে পুরুষদের ভূমিকা কম নয় বলে উল্লেখ করেন। শেষে সন্তানদের হাতে মোবাইল নয়, বই তুলে দেয়া এবং নৈতিকতা শিক্ষার প্রদানের আহ্বান জানিয়ে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন প্রধান অতিথি। বক্তব্য শেষে তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত স্কুল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।
রাজশাহী বিভাগীয় কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড স্কুল এসোসিয়েশনের সভাপতি আলতাফ হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, আব্দুস সালাম মাস্টার, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, সাবেক সদস্য মাজদার রহমান, প্রচেষ্টা শিশু নিকেতনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজামান, রাজশাহী জেলা মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি আলহাজ¦ বকুল আহম্মেদ ও নওহাটা সরকারী ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল আলাউদ্দিন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড স্কুল এসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক রবিউল ইসলাম (নিলয়)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অত্র এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের।
উল্লেখ্য অত্র এসোসিয়েশনের অধিনে ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৫০জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মোট ১৭২জন বৃত্তি পায়। এরমধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩০জন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডে ১৮জন করে বৃত্তি পায়। অবশিষ্ট সবাই সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে বলে জানান অত্র এসোসিয়েশনের সভাপতি আলতাফ হোসেন।