DhakaFriday , 27 June 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ই-পেপার
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্যপ্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. ফিচার
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা-বাণিজ্য
  12. মহিলা অঙ্গন
  13. রাজনীতি
  14. রাজশাহী
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০.৫১ বিলিয়ন ডলার

Link Copied!

বাংলার সকাল ডেস্ক : তিনটি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থার অর্থ সহায়তা যোগ হওয়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আইএমএফের দুটি কিস্তিতে ১ হাজার ৩০০ মিলিয়ন, এডিবির ৯০০ মিলিয়ন এবং জাইকার ঋণ সহায়তার অর্থ রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপ্রকাশিত আরেকটি পরিমাপে, যা থেকে এসডিআর, ব্যাংক ক্লিয়ারিং হিসাব এবং আকুর বিল বাদ দেওয়া হয়, সেখানে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে বর্তমান আমদানি ব্যয়ের (প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার) ভিত্তিতে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন।বর্তমান সরকার পতনের পর প্রবাসী আয় বৈধ পথে আসার হার বেড়েছে। এতে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে এবং রিজার্ভের ওপর চাপ কমেছে। গত ১০ মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না। একই সময়ে রাজস্ব ও ব্যাংক খাত সংস্কার এবং বাজেট সহায়তা বাবদ ৫০০ কোটির বেশি ডলার এসেছে, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। তবে এরপর সরকারের প্রভাবশালী মহলের অর্থপাচার, বৈশ্বিক সংকট, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে রিজার্ভ ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। সংকট মোকাবেলায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চায়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান রিজার্ভ পরিস্থিতি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য বৈদেশিক আয়ের নতুন উৎস বাড়ানো এবং আমদানি নির্ভরতা কমানো অপরিহার্য।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।