DhakaSaturday , 28 June 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ই-পেপার
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্যপ্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. ফিচার
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা-বাণিজ্য
  12. মহিলা অঙ্গন
  13. রাজনীতি
  14. রাজশাহী
  15. শিক্ষা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত

Link Copied!

বাংলার সকাল ডেস্ক : ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এটি ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ।শুক্রবার (২৭ জুন) এমনটি দাবি করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ। এই সংখ্যা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। গাজার মন্ত্রণালয়টি জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫৬,৩০০ ছাড়িয়েছে।হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় সরাসরি নিহত ছাড়াও বহু মানুষ পরোক্ষভাবে প্রাণ হারিয়েছেন— যেমন ক্ষুধা, ঠান্ডা ও রোগে আক্রান্ত হয়ে। এর কারণ গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি মুখপাত্র, সাংবাদিক ও প্রভাবশালীরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নিহতের সংখ্যা দেখে প্রায়শই সেটিকে বাড়িয়ে বলা হয়েছে বলে মনে করেন। তবে ক্রমে আরও বেশি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এই সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য বলে মেনে নিচ্ছেন। এমনকি বাস্তব পরিস্থিতির তুলনায় এটি হয়তো রক্ষণশীল হিসাবও হতে পারে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ হোলোওয়ের অর্থনীতিবিদ এবং সংঘর্ষকালীন মৃত্যুর ওপর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাইকেল স্প্যাগ্যাট গাজায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছেন।

এই সমীক্ষায় গাজার ২,০০০টি পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার মধ্যে প্রায় ১০,০০০ মানুষ ছিল।সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গাজা যুদ্ধে আনুমানিক ৭৫,২০০ জন ইসরায়েলি সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন, যার সিংহভাগই ইসরায়েলি গোলাবারুদের কারণে।হারেৎজ বলছে, নিহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই শিশু (১৮ বছর বয়স পর্যন্ত) এবং নারী— যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অধিকাংশ যুদ্ধের তুলনায় ব্যতিক্রমী।গবেষক স্প্যাগ্যাট বলেন, এই সমীক্ষার তথ্য গাজা যুদ্ধকে একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম রক্তক্ষয়ী সংঘাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। যদিও সিরিয়া, ইউক্রেন ও সুদানের সংঘাতে মোট নিহতের সংখ্যা গাজার চেয়ে বেশি হতে পারে, তবে গাজা যুদ্ধটি সবচেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে যুদ্ধে জড়িত সামরিক সদস্যদের তুলনায়। আর এটি জনসংখ্যার অনুপাতে মৃত্যুহার বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, গাজায় সহিংসভাবে নিহত নারী ও শিশুর অনুপাত অন্যান্য সাম্প্রতিক যুদ্ধের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি— যেমন কসোভো (২০%), উত্তর ইথিওপিয়া (৯%), সিরিয়া (২০%) এবং সুদান (২৩%)।স্প্যাগ্যাট বলেন, ‘আমার ধারণা, গাজার প্রায় ৪ শতাংশ জনসংখ্যা ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন। ২১’শ শতাব্দীতে আর কোনো সংঘাতে এত বেশি অনুপাতে মৃত্যু ঘটেছে কিনা, আমি তা জানি না।’২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ অভিযান চালিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মহল বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, মানবতাবিরোধী এ বাহিনীটি কোনো তোয়াক্কা করছে না।

গত বছরের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।এছাড়াও গাজায় সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।