DhakaSunday , 29 June 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ই-পেপার
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্যপ্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. ফিচার
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা-বাণিজ্য
  12. মহিলা অঙ্গন
  13. রাজনীতি
  14. রাজশাহী
  15. শিক্ষা

তানোরে ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের প্রতিবাদ” বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও  তোপের মুখে ডিজিএম

Link Copied!

 তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায়ের প্রতিবাদে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৯জুন) সকালে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে করে বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম রেজাউল করিম খান তার অফিস কক্ষ থেকে সটকে পড়ে রক্ষা পান।

 সরেজমিনে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে প্রায় শতাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। গ্রাহকদের অভিযোগ, চলতি মাসে আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে ও মিটার ভাড়া দেখিয়ে বিদ্যুৎ বিলের কাগজে ১৫০০ শত টাকা ধরা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অযৌক্তিক বিল দেয়া হয়েছে বলে গ্রাহকদের দাবি। ভুক্তভোগী গ্রাহক রফিকুল ইসলাম বলেন,গত মাসে আমার বিল আসছিল ৬৫০ টাকা আর এবার এসেছে ১৮৫০ টাকা। বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়েনি, তাহলে এত বিল বাড়লো কি ভাবে? এই বিল দিয়ে কি ভাবে চলবো? অফিসে অভিযোগ করতে গেলে কর্মকর্তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন বলে বিক্ষুব্ধ জনতা ‘দুর্নীতিবাজ অফিসার হটাও’ অতিরিক্ত বিল বাতিল করো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে অফিস ঘেরাও করেন।  এসময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে ডিজিএম রেজাউল করিম খান সামনের দরজা দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে অফিসের উপর তলায় পালিয়ে যান। পরে পুলিশ আসলে আবারো অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় উত্তেজিত জনতা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস চত্বরে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

পরে ডিএজিএম এর অফিস কক্ষে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের নিয়ে থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিয়ে সমোঝোতা করে দেন। তানোর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, বাড়তি বিলের বিষয়ে গ্রাহকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে, গ্রাহকরা আবেদন করলে তা সংশোধন করে দিবে বিদ্যুৎ অফিস।   তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম রেজাউল করিম খান ঘটনার বিষয়ে গ্রাহকদের কাছে মিটার ভাড়া ও অবৈধ ভাবে জমিতে সেচ দেয়ার জন্য ১৫শ টাকা জরিমানা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,এবার হয়তো মিটার রিডিং বা টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে গ্রাহকদের তিনগুণ বেশি বিল দেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রাহকদের বিল সংশোধনের জন্য দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। 

এবিষয়ে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার রমেন্দ্র চন্দ্র রায় এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই তবে গ্রাহকদের নিয়েই আমাদের অফিস ভুল ত্রুটি হতে পারে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি এটার সমাধান করা হবে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ যদি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না করে তাহলে সামনে আরো বড় ধরনের আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন গ্রাহকরা।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।