বাংলার সকাল ডেস্ক : ইসরায়েল ও সিরিয়া দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তিকে ‘কূটনৈতিক মাইলফলক’ আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলো। পর্যবেক্ষকদের মতে, চুক্তিটি মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিভাজন নিরসনের লক্ষ্যে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত টম ব্যারাক এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।বিবৃতিতে ব্যারাক বলেন, “আমরা ড্রুজ, বেদুইন এবং সুন্নি সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই—আপনারা অস্ত্র নামিয়ে রাখুন এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে একযোগে শান্তি ও সম্প্রীতির পথে এগিয়ে এসে একটি নতুন ও ঐক্যবদ্ধ সিরিয়া গড়ে তুলুন।”এর আগে, গত বুধবার ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েল দাবি করে, হামলার লক্ষ্য ছিল সরকারি স্থাপনাগুলো এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল ড্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষা করা—যারা সিরিয়ার প্রাচীন আরব ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ওই অঞ্চলে বসবাস করছে।
সিরিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে নতুন ক্ষমতাকাঠামো গড়ে ওঠে। এর ফলে সরকারপন্থি বাহিনী ও ড্রুজদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ঘটে। এসব সংঘাতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চাপা পড়ে থাকা জাতিগত বিভাজন আবারও প্রকাশ্যে চলে আসে।