বাংলার সকাল ডেস্ক : দেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডলি জহুর অভিনয়জীবনে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। এখনো ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন এই গুণী শিল্পী।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের পেশাগত জীবনের কিছু কষ্ট ও হতাশার কথা প্রকাশ করেন তিনি।ডলি জহুর বলেন, আমরা যারা মা-খালা চরিত্রে অভিনয় করি, ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো মর্যাদা পাইনি—এটা সত্যি। মা চরিত্রে অভিনয় করতাম, পারিশ্রমিকও পেতাম কম। এমনকি অনেক সময় সময়মতো পারিশ্রমিকও মেলেনি। বারবার শুনতে হয়েছে—আপনি কি টাকার জন্য কাজ করেন, নাকি করেন না?
২০১১ সালে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে আসার সময়ও প্রায় ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া ছিল বলে জানান ডলি জহুর। স্বামীর অসুস্থতার সময় অর্থ সংকটে পড়লেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। তিনি বলেন, অনেক সিনেমায় কাজ করেছি, অনেকের কাছে টাকা পেতাম। এমনও হয়েছে—সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু আমার পারিশ্রমিকের পুরো টাকাই বকেয়া রয়ে গেছে।তিনি আরও জানান, স্বামী ক্যানসারে আক্রান্ত হলে এক পরিচালককে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন কিছু টাকা দিতে, যাতে স্বামীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পারেন। কিন্তু যার কাছে টাকা তোলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তিও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পাওনা টাকাও আর ফেরত পাননি।
উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ও ‘ঘানি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০২১ সালে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কারে ভূষিত হন ডলি জহুর। বর্তমানে তিনি ছোটপর্দায় নিয়মিত অভিনয় করছেন, দর্শকদের ভালোবাসায় এগিয়ে চলেছেন এই বরেণ্য অভিনেত্রী।