ষ্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী টেক্সটাইল মিল পুনরায় চালু করে মাত্র ছয় মাসে ২০০০ কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে প্রাণ-আরএফএল। আরও ১০,০০০-হাজার কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে টেলি মার্কেটিং, তৈরি পোশারসর নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছে শিল্পফ্লপাটি।দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) সঙ্গে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের ভিত্তিতে গত ২২ বছর ধরে বন্ধ থাকা রাজশাহী টেক্সটাইল মিল পুনরায় চালু করতে গত অক্টোবরে একটি চুক্তি সাক্ষর করে।গত ডিসেম্বরে বিটিএমসির কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পরপরই আনিনির্ণ কারখানাটি ইতোমধ্যে সচল করতে সক্ষম হয়েছে প্রান-আরএফএল। কারখানাতে থাকা পরিত্যাক্ত একমাত্র শেডকে মেরামত করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ও জুতা উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিল্পগ্রুপটি।
গতকাল জেলার সপুরায় রাজশাহী বরেন্দ্র টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানাতে ‘দুই হাজার কর্মসংস্থান উদযাপন। লক্ষ্য ১২ হাজার অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে দুই হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান তৈরি মাইলফলক উদযাপনের কেক কাটেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রান-অরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের ম্যানেজার নূরুল আলমসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলৈন।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা একটি রাষ্ট্রায়ও মিল পুনরায় চালু করে এত স্বল্প সময়ে দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি শুধু একটি শিল্প কারখানা চালু হওয়া নয়, এটি একটি অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা।তিনি আর বলেন, “বর্তমান সময়ে যখন দেশের গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনপদের মানুষ কর্মসংস্থানের অভাবে শহরমুখী ২০২, এখন আরএফএল-এর মতো প্রতিষ্ঠান স্থানীয় পর্যায়ে শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে, যা টেকসই উন্নয়নের আংতম মূল ভিত্তি”।অনুষ্ঠানে কয়েকজন নতুন নিয়োগগ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন উপদেষ্টা।
প্রান-আরএফএল ফ্লপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য মহৎ। আমরা মনে করি, কাজের জন্য ঢাকায় যাওয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে। বরং আমরা আগামী দিনে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে শিল্প স্থাপন করে চাকরির অফার লেটার নিয়ে দূরবো। আমরা রাজশাহীতে শ্রমঘন শিল্পে বিনিয়োগ করছি এবং প্রচুর লোকের কাজের সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছি।তিনি আরও বলেন, “এই কারখানাটি হবে সম্পূর্ণ সাসটেইনেবল গ্রীন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। এ কারখানার পণ্য শতভাগ রপ্তানিমুখী হবে। রামরা এখানে নারীদের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছি। আমরা এখানে টেলি মার্কেটিং প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি যেখানে আগামী দিনে প্রচুর নারীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে।” রাজশাহী অঞ্চলের বেকারত্ব সমস্যা দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে প্রান আরএফএল গ্রুপ।