DhakaSaturday , 19 July 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ই-পেপার
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্যপ্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. ফিচার
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা-বাণিজ্য
  12. মহিলা অঙ্গন
  13. রাজনীতি
  14. রাজশাহী
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষনাসহ নিজে যুদ্ধ করেছিলেন: শফিকুল হক মিলন

Link Copied!

ষ্টাফ রিপোর্টার: পিআর পদ্ধতি হচ্ছে একটি অবাস্তব এবং অগণতান্ত্রিক একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া পার্সেন্টেন্স অনুযায়ী এমপি নির্বাচিত হবেন। কাকে আপনি ভোট দিলেন এটা আপনি নিজেও জানতে পারবেন না। ভোট দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আর নির্বাচিত হবে হিরো আলম। এমনটাই প্রবাদ উঠেছে বাংলাদেশে। এটাই চাচ্ছে জামায়াতে ইসলাম। ঐ দল এমপি নির্বাচন করার জন্য নমুনেশন পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছেন। সেইসাথে তারা প্রচারণাও চালাচ্ছেন বলে শনিবার বিকেলে কেশরহাট পৌর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, তারা নমুনেশন ঠিক করতে পারে, আর বিএনপি নির্বাচনের রোডম্যাপ করার কথা বললে তাদের গাত্র হয়। বিএনপি চারবার ক্ষমতায় ছিলো। দেশের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। বিএনপি সাধারণ জনগণের দল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এই দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে তিনি ক্ষ্যান্ত হননি। তিনি সম্মুখ যুদ্ধ করে একটি লাল সবুজের পতাকা নিয়ে এসেছেন। তেরী করেছেন বাংলাদেশ নামে একটি ভুখন্ড।
সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম সংস্কার শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বাকশাল থেকে তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে ছিলেন। তিনি বলেন, তৎকালীন সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তারকে তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতা দখল করে নিয়েছিলেন। সেই স্বেরাচার এরশাদকে হঠাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা ও জামায়াত এক হয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলো। এরপর ১৯৮৬ সালে যখন এরশাদ নির্বাচন দেন, সেই নির্বাচন তাদেও াংশগ্রহন করর কথা ছিলোনা। এ নিয়ে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে শেখ হাসিনা ভাষন দিয়ে দিয়েছিলেন যে এই সরকারের সাথে নির্বাচন করবে সে হলো জাতীয় বেইমান। আর জামায়াত নেতা বলেছিলেন সে হবে মোনাফেক।
তিনি আরো বলেন, বক্তব্য দিয়ে পরেরদিন এরশাদের সাথে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। কিন্তু বেগম জিয়া সেই নির্বাচনে জাননি। তাহলে আপনারা বোঝেন কে বেইমান ও কে মোনাফেক। এই সকল মোনাফেক দলের নেতারা বিএনপিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। যারা স্বাধীনতার বিরোধী ছিলো,তারা আজ বড় বড় কথা বলে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপি’র যারা ধারক বাহক ও দেশের জনগণ সেদিন বেগম জিয়াকে আপোসহীন নেত্রী হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে প্রথম রাষ্ট্রপতি সরকার বাতিল করে সংসদীয় পদ্ধতি চাল করেন। তিনিও সংস্কার করেছিলেন।
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করেন তিনি বলেন গাড়ী নষ্ট হলে গাড়ী সারবেন। সংস্কারের দোহাই দিয়ে কোন লাভ হবেনা। তিনি বলেন, ঢাকায় আজ জামায়াতের জনসভায় আমির সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করে দিচ্ছেন। আরে শেখ মুজিবুর রহমানও একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু এরপরে শেখ হাসিনার আমলে জামায়াতের অনেক নেতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের কারনে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছিলো। জামায়াত সারাঝীবন পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছে,এখনো করছে। তারা এখানো স্বাধীনতার বিরোধীতা করে। জামায়াত কখনো বাংলাদেশর ভাল চায়না। এজন্য ধর্মব্যবসায়ী এই দল হতে সবাইকে সতর্ক থাকার অহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশকে নিয়ে ছিনিবিনি খেলার জন্য শত শত ছাত্র-জনতা প্রাণ দেয়নি। হাজার হাজার লোক আহত ও পঙ্গু হয়নি। বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী নির্যাতিত হয়নি, খুন, গুম ও মামলার স্বীকার হয়নি। সব কিছুকে মূল্য দিয়ে ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার জন্য আহবান জানান তিনি। সেইসাথে নয়া সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহŸান জানান তিনি। বক্তব্য তিনি ৩১দফা লিফলেট বিতরণ করেন।
বিএনপি কেশরহাট শাখার সভাপতি আলাউদ্দিন আলোর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনন উজ্জল, জেলা বিএনপি’র সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, মোহনপুর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আর রশিদ, কেশরহাট পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খুশবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনকসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।